Thursday, February 29, 2024

চোঙ বেজে চলেছে মুচকি হাসছে অর্জুন


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ধরা পরলেও তৃণমূল দল অনেকটাই ব্যাকফুটে। এই মুহূর্তে ড্যামেজ কি করে মেরামতি হবে সেই নিয়ে চিন্তায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এভাবে দলের মুখ পোড়ায় নেত্রীর নজরে বেশকিছু নেতা। 

পাশাপাশি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও দলের বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। কি না ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিংকে উদ্দেশ্য করে ক্রমাগত আক্রমণ করে যাচ্ছেন দলের দুই বিধায়ক। 

সূত্রের দাবি, তাঁরা সাংসদকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। অথচ অর্জুন সিংকে দলে নিয়ে এসেছেন স্বয়ং সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বিধায়ক বলছেন, 'বাঘ মফঃস্বলে কি করে থাকে। খাচায় পুরে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে'। অপর বিধায়কতো মাথা নিচু করে অর্জুন দলে ঢুকেছেন এই কাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। 
অনেকটা মাইকের চোঙ হিসেবে ওই দুই বিধায়ক নিজেদের বিধানসভার দুই প্রান্তে চোঙা ফুঁকে চলেছেন। যদিও এঁদের কোনো কথার পাত্তা দিচ্ছেন না অর্জুন সিং। বরং মুচকি হাসছেন।

প্রথমে 'নৈহাটীর এক ওষুধের দোকান থেকে ইঞ্জেকশন নিয়ে পোল্ট্রি মুরগী চেঁচাচ্ছে' এই ধরনের টিপ্পনিতে তোলপাড় করে দিয়েছিলেন সাংসদ। পরে তিনি দলের অনুশাসন মেনে চুপ করে গেছেন। 

কিন্তু সাংসদ অনুগামীদের কথায়, দুটি চোঙ বেজেই চলেছে। ব্যারাকপুরের দিকে দিকে  পুরনো তৃণমূল কর্মীরা তাই কটাক্ষ করে বলছেন, দল অর্জুন সিংকে লোকসভায় প্রার্থী করলে দেখবেন চোঙ আছে, পেছনের তার উধাও।

Saturday, February 24, 2024

'ওস্তাদের মার শেষ রাতে' বলছে ব্যারাকপুরের আদি তৃণমূল সৈনিকরা

বিল্টু কাশ্যপঃ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। সূত্র বলছে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভবনা প্রবল। ডান-বাম-গেরুয়া কোনও দলই তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। যদিও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সব দলই ময়দানে নেমে পড়েছে। 

এবারের নির্বাচনে সকলের নজর ব্যারাকপুর কেন্দ্রের দিকে। ২০১৯ সালে মাত্র ২৮ দিনে  একদা জয়েন্ট কিলার 'দীনেশ ত্রিবেদী'কে পরাস্ত করেছিলেন ভূমিপুত্র অর্জুন। যদিও এবার তিনি শাসকদলে আছেন। ব্যারাকপুর ও বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু হোডিং চোখে পড়ছে। তাতে লেখা এবার ব্যারাকপুরে জনতার রাজ'। 

যদিও এই হোডিং ঘিরে জল্পনা ছড়ালেও শাসকদলের কেউ মুখ খুলতে চায়নি। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, রাজ চলচ্চিত্র পরিচালক হলেও রাজনীতির আঙিনায় নবাগত। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানচিত্র তাঁর কাছে অজানা। তাছাড়া এবারে কঠিন নির্বাচন। তেড়েফুঁড়ে লেগেছে বঙ্গ বিজেপি। 

সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ পুড়েছে শাসকদলের। এমত অবস্থায় রাজের পক্ষে লড়াই কঠিন মনে করছেন নিচুতলার কর্মীরা। যদিও ঘাসফুলের আদি নেতারা চাইছেন, দুর্দিনে বুক চিতিয়ে লড়াই করা অর্জুন একদম ফিটেস্ট। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র তাঁর হাতের তালুর মতন চেনা। তাঁর ব্যক্তিগত পরিচিতি অগাধ। ভোট যুদ্ধের কৌশলে ভীষন পটু। 

সূত্র বলছে, বিরোধী শিবির নানা কৌশলে অর্জুনকে আটকাতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। জনতার রাজ দাবি করে কখনও পোস্টার কিংবা হোডিংয়ে। আবার কখনও বাজারে কারও নাম ভাসিয়ে দলীয় কর্মীদের বিভ্রান্ত করার খেলায় মেতেছেন। যদিও সেসব পাত্তা দিতে নারাজ সাংসদ অনুগামীরা। 

প্রচলিত প্রবাদবাক্য 'ওস্তাদের মার শেষ রাতে' স্মরণ করাতে চাইছেন সাংসদ অনুগামীরা। উক্ত প্রবাদ বাক্যের  অর্থ, একজন পারদর্শী ব্যক্তি শেষ মুহূর্তে তার দক্ষতার পরিচয় দেন।

সূত্র বলছে, এবারে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তের ক্ষেত্রে প্রখর দৃষ্টি রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেক্ষেত্রে লড়াকু ইমেজের প্রার্থীকেই তিনি এবার প্রাধান্য দিতে চান। সূত্র বলছে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের গোড়ায় ঘাসফুলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা প্রবল।