Friday, September 10, 2021

শিক্ষক মইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে রাতভর বেলেঘাটায় পুলিশের ধুন্দুমার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মধ্যরাতে শিক্ষক নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আবারো সরকারের মুখ পোড়ালো পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কলকাতার বেলেঘাটা চালপট্টি রোডের একটি বাড়িতে পুলিশ যায় শিক্ষক মইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে। যদিও বাড়িটি শিক্ষকের শ্বশুর বাড়ি। ওই বাড়িতে তিনি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, তিনি নাকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। 

মইদুল ইসলাম শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুর্দশা নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ শে আগষ্ট সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে অন্যায় ভাবে বদলির প্রতিবাদে আন্দোলনরত পাঁচ শিক্ষিকা বিষ পান করে। অসুস্থ হয়ে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চার জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখনো এক শিক্ষিকা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। 

শিক্ষক মইদুলের অপরাধ তিনি নাকি বিষ খেতে প্ররোচনা জুগিয়েছেন। পুলিশ তাই শুয়োমোটো মামলা রুজু করে। আর তাঁকে পাকড়াও করতে রাতেই পুলিশের অভিযান। শিক্ষকের আপত্তি, রাতে কেন। তিনি সকালে পুলিশকে আসতে বলেন। পুলিশও নাছোড়বান্দা না এখনই তাকে থানায় যেতে হবে। এরপর শুরু হয়ে যায় ধুন্দুমার কান্ড। 

মইদুল সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক লাইভ শুরু করে দেন। মুহূর্তে পুলিশের সাথে তাঁর বাদানুবাদ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঢোকার হুমকি দিতে দেখা যায়। মইদুলও ছাড়বার পাত্র নন। বাড়ির ওপর থেকে লাইভে গোটা বাড়িটা ঘিরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপের দৃশ্য দেখাতে থাকেন। শিক্ষক বার বার বলতে থাকেন, তিনি কি চোর-ডাকাত না জঙ্গি? গ্রেপ্তারির কাগজ দেখাতে বলেন পুলিশকে। 

মইদুল জানিয়েছেন, তাঁর শ্বশুর মশাই হার্টের রোগী। বুকে ষ্টেন বসানো রয়েছে। তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পুলিশ বলে, জামাইকে বের করে দিন। না হলে গোটা বাড়ির লোককে গ্রেপ্তার করা হবে।
রাতভর রাজ্যবাসী দেখল এ রাজ্যের মানবিক পুলিশের আসামি ধরার দৃশ্য।

No comments:

Post a Comment