চিত্ত ওঝাঃ ব্যারাকপুরে বিজেপিকে হাস্যকর জায়গায় নামিয়ে এনেছে বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদি সংগঠন। সঙ্গে বেশ কিছু পুরনো বিজেপি কর্তা। দাবি দলের একাংশের। তৃণমূলের সাথে তাদের বোঝাপড়া এখন আর গোপন থাকছে না।
গত ২১ এপ্রিল শ্যামনগরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। হাজির ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি অশোক দাস।
বিধায়ক যখন বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপি নেতা তখন নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ক্যামেরায় মোছা গেলোনা। সূত্রের দাবি ওই বিজেপি নেতা আবার প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের চরম বিরোধী।
এরকম ব্যারাকপুর জেলা বিজেপিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নেতার সংখ্যা নাকি একডজন। তাদের মদত জোগায় সংঘ ও বিভিন্ন নামধারী হিন্দু সংগঠনের কতিপয় কর্তা ব্যক্তিরা।
সূত্র জানাচ্ছে, এদের প্রত্যেকের নেতা হওয়ার বাসনা। এই জেলার এক সংঘ নেতা চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তিনি এত বড় মাপের সংগঠক তার একটা নমুনা বিজেপির এক সাধারণ কর্মী শোনোলেন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই সংঘ সংগঠকের বাড়ির উল্টোদিকে স্কুলের মধ্যে দেদার ছাপ্পা চলছে। এক মহিলা বিজেপি প্রার্থী বেলা তিনটে পর্যন্ত বুথে লড়াই চালিয়ে গেলেন।
এরপর ওই মহিলাকে ঘিরে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে তৃণমূলের ঠ্যাঙারে বাহিনী। তখন বিজেপির আরে এক পুরুষ প্রার্থী ওই সংগঠককে ফোনে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে মহিলা প্রার্থীকে বের করে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে তিনি নাকি বলেছিলেন আমার বাড়ির গেট ঘিরে এক-দেড়শো ছেলে। আমি নিচে নামতে পারছি না।
এরকম অজস্র ঘটনা ব্যারকপুর লোকসভার কোনায় কোনায়। জীবন বাজি রেখে বুথে বসা অজস্র বিজেপি কর্মীর আর্তনাদ, যাদের পাড়াঘরে দুজন লোক নেই তাদের পরামর্শেই দলটা কাগজে কলমে বন্দী থেকে গেল।