নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কিছুদিন যাবৎ ব্যারাকপুরের আকাশে রাজনীতির কালো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। গর্জন-তর্জন কখনো ঝিরি ঝিরি কখনো আবার এক পশলা বৃষ্টির ন্যায় ঝড়ে পড়ছে। আক্ষেপ আর আক্ষেপ এক নেতা কেন দলে এলেন!
কে সেই নেতা, সাংসদ অর্জুন সিং। সাম্রাজ্য ডুববে না থাকবে সেই ভয় গ্রাস করেছে সাংসদ বিরোধী সেই তথাকথিত নেতাদের।
এক দল দুই বিধানের তালিকায় এখন ব্যারাকপুর। প্রকাশ্যে ঘোষনা চলছে দুহাজার একুশের আগে দলে আসারাই নাকি অরিজিনাল তৃণমূল। তাই আক্রমণের লক্ষ্য যে অর্জুন সেকথা বুঝতে কারো অসুবিধার নয়।
কিন্তু মুশকিল যারা মিটিং-মিছিলে বিজেপির সাংসদ বলে অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ফাটিয়ে বলছেন তাদের নেতাটি আবার মেঘনাদ। সূত্রের দাবি, তিনি মৃদু হাসছেন। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন। এটাই নাকি তাঁর কৌশল রাজনীতি। কানারা পথ হারাচ্ছেন।
এই শিল্পাঞ্চলে জোড়াফুল এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। আদি বনাম নব্য। ফলে ব্যারাকপুর সংসদীয় কেন্দ্রে ঝগড়া লেগেই রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে শাসকের অস্বস্তি বাড়ছে।
অর্জুনকে কিছুতেই প্রার্থী করা চলবে না এই দাবিতে নেতৃত্বের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলছেন দুই বিধায়ক। যদিও মাঝে মধ্যে তাল কাটছেন তাদের এক মেন্টর। সেটা আবার স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন দলের কর্মীরা।
এহেন ব্যারাকপুর-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা রানা দাশগুপ্ত সোমবার সামাজিক মাধ্যমে সাংসদের সঙ্গে মন্ত্রীর রাস্তা উদ্বোধনের ছবি পোস্ট করে অনেক কর্মীর মনের কথা লিখেদিয়েছেন।
রানা দাশগুপ্ত লিখেছেন, 'কর্মীদের বোকা বানিয়ে তলায় তলায় সব সেটিং আর কর্মীরা এম পি'র সাথে সম্পর্ক রাখলে তাদের করা হয় থ্রেটিং। এই চালাকি আর কতদিন চলবে'। আবার সত্যজিৎ রায়ের গুপি গাইন বাঘা বাইন ছবির গানের লাইন জুড়ে ওই তৃণমূল নেতা ঠুকেছেন, ও মন্ত্রী মশাই ষড়যন্ত্রী মশাই থেমে থাক।